যে কোন ধর্ম, বর্ণ বা গোত্রের সকল ধরনের মাদক নির্ভরশীল ও মানসিক রোগীরা (নারী ও পুরুষ) ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন পরিচালিত চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি হতে পারে। তবে ভর্তি ইচ্ছুক ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যদের সেন্টারের নিয়ম-কানুন মেনে চলা ও মেয়াদকাল উত্তীর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ব্যক্তিকে সেন্টারে রাখার সম্মতি থাকতে হবে। অনেক রোগীর ভর্তির ইচ্ছা প্রাথমিকভাবে থাকে না। রোগীর অভিভাবক যদি সম্মত থাকেন তাহলে রোগীকে কেন্দ্র পর্যন্ত অভিভাবক নিজ দায়িত্বে নিয়ে আসতে পারেন।
চিকিৎসার নিয়ম জেনে ও বুঝে ভর্তির ফরম যথাযথ ভাবে পুরন করতে হবে।
আমাদের চিকিৎসা কেন্দ্র সম্পূর্ণ ধুমপান ও তামাকমুক্ত। রোগীদেরকে কোন ধরনের ধুমপান ও তামাক জাতীয় পণ্য সরবরাহ করা হয় না।
রোগীর কি ধরনের মাদক এর সমস্যা আছে সেই বিষয় জানার জন্য ডোপ টেস্ট এর ব্যবস্থা আছে। এক্ষেত্রে ডোপ টেস্টের ফি ১২০০ টাকা দিতে হয়।
পুরুষ কেন্দ্রে চিকিৎসার মেয়াদকাল কমপক্ষে ৬ মাস, মনোযত্ন কেন্দ্রে ৩ মাস এবং নারী কেন্দ্রে মেয়াদকাল ১মাস, ২মাস ও ৩ মাস (৩টি মেয়াদে চিকিৎসা প্রোগ্রাম)। বিভিন্ন গবেষনার ফলাফল ও অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা যায় যে, স্বল্পমেয়াদী চিকিৎসায় রিল্যাপ্স বা পুনঃ আসক্তির সংখ্যা অনেক বেশি ঘটে থাকে। বিধায় বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটের কথা বিবেচনা করে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন উপরোক্ত চিকিৎসার মেয়াদ নির্ধারণ করেছে।
গাজীপুর কেন্দ্রে প্রতি মাসের চিকিৎসা ফি ২৫,০০০/- এবং যশোর কেন্দ্রের এর জন্য ১৫,০০০/- এবং ঢাকা নারী কেন্দ্রের ১মাসের প্যাকেজে ৪০,০০০টাকা, ২মাসের প্যাকেজে ৭০,০০০টাকা এবং ৩ মাসের প্যাকেজে প্রতি মাসের চিকিৎসা ফি ৩০,০০০ বা ৫০,০০০ টাকা (কেবিন), মনোযত্ন কেন্দ্রে সিঙ্গেল রুম ৬০,০০০, ডবল সিটের রুম ৪৫,০০০, তিন ও চার জনের সিটের রুম ৩৫,০০০। এছাড়া অন্যান্য খরচ যেমনঃ ডায়গনেস্টিক, রোগীর ব্যবহৃত বস্ত্র, সাবান, পেষ্ট ইত্যাদি সকল ব্যবহার্য জিনিষ, ঔষধপত্র বিশেষ কোন চিকিৎসার জন্য (যেমনঃ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দেখানো) ক্লিনিক বা হাসপাতালের খরচ অভিভাবককে বহন করতে হবে। ভর্তির সময় ২ মাসের ফি অগ্রিম গ্রহণ করা হয়।
যাদের মাদক ব্যবহার করার ফলে মানসিক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তারা এখানে ভর্তি হতে পারবে৷ এখানে মনো-চিকিৎসক রয়েছেন৷ মনোচকিৎসক প্রয়োজন অনুসারে মানসিক রোগের চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। এই প্রতিষ্ঠান অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, বিশেষজ্ঞ মনোরোগ চিকিৎসক, চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী ও মাদক নির্ভরশীল বিষয়ক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রাপ্ত অভিজ্ঞ কাউন্সেলর দ্বারা পরিচালিত হয় ।
মাদক নির্ভরশীলদের চিকিৎসায় পরিবারের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ। আর বেশিরভাগ রোগীর মাদক নেয়ার ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় অনেক মাদক নির্ভরশীল ব্যক্তির পরিবারে বিচ্ছেদ, পারিবারিক বিশৃঙ্খলা ও সম্পর্কের জটিলতা রয়েছে। তাই চিকিৎসা চলাকালীর সময় ও চিকিৎসা পরবর্তী পরিচর্যা ও ফলোআপের জন্য পরিবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে পরিবারের সদস্যদের জন্য মাদক নির্ভরশীল চিকিৎসা সম্পর্কিত ধারণা, রোগীদের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ ও সহায়তার জন্য নিয়মিত পারিবারিক সভার আয়োজন করা হয়। এছাড়া পারিবারিক কাউন্সেলিং সেবা দেয়া হয়। আর পরিবারের সাথে ব্যক্তির দেখা করার দিন অর্থাৎ ফ্যামিলি ভিজিটিং ডে-এর ব্যবস্থা রয়েছে। পুরুষ রোগীর পরিবারের সদস্যদের ফ্যামিলি ডে প্রতি শুক্রবার এবং নারী রোগীর পরিবারের সদস্যদের ফ্যামিলি ডে প্রতি শনিবার। এছাড়া পরিবারের সদস্যরা কেন্দ্রের স্টাফদের কাছ থেকে ফোনের মাধ্যমে রোগীর
পূর্ণমেয়াদ চিকিৎসার পর ফলোআপের ব্যবস্থা রয়েছে। পরবর্তী পরিচর্যার জন্য কেন্দ্রে নারকোটিকস এনোনিমাস (এন.এ) প্রোগ্রাম আছে। এছাড়া কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ রাখা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য তাদের উৎসাহ দেয়া হয়। চিকিৎসার পর এখানে রোগীরা বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে সেল্প-হেল্প গ্রুপ গঠন করতে পারে। রোগীর রিলিজের দিন চিকিৎসা পরবর্তী ফলো-আপের তালিকা দিয়ে দেয়া হয়।
মিয়াবাড়ি সড়ক, গজারিয়া পাড়া, রাজেন্দ্রপুর, গাজীপুর। মোবাইল: ০১৭১৫৪০৭৮৪৩, ০১৭৭২৯১৬১০২।
ভেকুটিয়া সদর, যশোর । মোবাইল: ০১৭৮১৩৫৫৭৫৫
হোল্ডিং নং -১৫২, ব্লক-ক, রোড নং-৬, পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭। মোবাইল: ০১৭৭৭৭৫৩১৪৩, ০১৭৪৮৪৭৫৫২৩
আলমপুর, হাঁসাড়া, শ্রীনগর, মুন্সিগজ্ঞ, মোবাইল: ০১৮১০১১৩৬৪১, ০১৭৮২৯৬৬৬০৬